ডেস্ক
Published:2021-04-25 18:37:20 BdST
ভারতের অতি মারী পরিস্থিতি নিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস এর চাঞ্চল্যকর রিপোর্টে যা বলা হয়েছে
অধ্যাপক ডা শুভাগত চৌধুরী
বাংলা দেশের স্বাস্থ্যাচার্য
---------------------------------------
নিউ ইয়র্ক টাইমসের এর এক লিড প্রবন্ধ ভারতের বর্তমান করোনা ধ্বস নিয়ে , মৃত্যু অনুমান কম তা বলা হচ্ছে। এপ্রিল ২৪ ২০২১
সে দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ধীরে এক বিধ্বংসী সংকটে রুপান্তরিত
হাসপাতলে রোগী উপচে পড়ছে , এই প্রাদুর্ভাবে মানুষের মৃত্যু অনুমান
অনেক কম ।
সরকারি হিসাব মতে প্রতিদিন সঙ্ক্রমন ৩ লক্ষের বেশি যা হচ্ছে নতুন
বিশ্ব রেকর্ড ।
বিশেষজ্ঞরা বলেন সেই অনুমান কম প্রদর্শিত
সত্যিকারের ধ্বসে র চেয়ে আর সত্যি চিত্র অনুমানে দেশ এক জরুরি
অবস্থায় পতিত ।
সাম্প্রতিক সংক্রমণ আর মৃত্যুর ই উল্লম্ফনের একটি কারন নতুন ভেরি য়েনট । অনেকে ঘর থেকে বেরুচ্ছে না ভাইরাসের ভয়ে আর হাসপাতালে ব্যাপক অক্সিজেনের অভাবে দুয়ারে ধুঁকছেন রোগীরা
মৃত্যু ঘটছে র অভাবে।
শব দেহের গমন বাড়ছে দাহ হবার বা কবরে শায়িত হবার জন্য
আর এ এক ভয়াবহ দৃশ্য , সেই দৃশ্য থাকছে স্থির এর কোন ও পরিবর্তন নেই। শোকাহত অনেক পরিবার স্বজনের মৃত্যুর কারন বলতেও দ্বিধা করেন লজ্জায়।
মিশিগান বিশ্ব বিদ্যালয়ের এপিডেমিওলজিসট ভ্রমর মুখার্জী বলেন,
তথ্য উপাত্তের এ এক বিরাট গরমিল সব ধরনের মডেল বিচারে সঙ্ক্রমন আর মৃত্যুর প্রকৃত চিত্র দুই গুন থেকে তিন গুন বেশি।
আহমেদাবাদের এক বিশাল শ্মশানে আগুন জ্বলছেই ,২৪ ঘণ্টা , উজ্জ্বল কমলা লাল আগুন আকাশকে আলোকিত করছে নিশি দিন যেন এক বিশাল শিলপ প্লান্ট জ্বলছে অবিরাম।
কিন্তু মৃত্যুর কারন লিখা হচ্ছেনা নথিতে , লিখা হচ্ছে , "অসুস্থতা "
দিল্লিতে অনেক মৃত্যুর কারন হল অক্সিজেনের তীব্র সংকট ।
মাস খানেক আগে ভারত ভালই প্যান ডে মিক মোকাবেলা করছিলেন
কিন্তু শুরুতে কঠোর লক ডাউন শিথিল হবার এক ধরনের শৈথিল্য এসেছিল , সঙ্ক্রমন সংখ্যা গনন মৃত্যু ভয়াবহতা নজর কর হয়নি। অনেক অফিসিয়াল আর সাধারন নাগরিক স্বাস্থ্য বিধি মানা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
দেশে কোভিড টিকা অভিযান ধুকছে , ১০ % কম ভারতীয় পেয়েছে
প্রথম ডোজ । ভারত বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ টিকা উৎপাদন কেন্দ্র
হলেও এদের দেশের চাহিদা প্রভাব ফেলেছে অন্যান্য দেশের উপর।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন নতুন এই আগ্রাসি উল্লম্ফন এর করাওন নতুন
ডাবল মিউটেনট ভাইরাস B.1.617 , এতে দুতি ভয়ঙ্কর জেনে টিক মিউটে শন হয়েছে একটি হল অতি সঙ্ক্রামক মিউ টে শন যা এ বছর শুরুতে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটিয়েছিল ক্যালিফোর্নিয়ায় আর অন্যটি হল দক্ষিন আফ্রিকান ভেরিয়েনট যেগুলো র নিয়ন্ত্রন দারুন কঠিন ।
ফলাফল ঃ হবে দ্রুত বিস্তার আর নিয়ন্ত্রন হবে কঠিন ।
শঙ্কার বিষয় ভাইরাস মিউ টে শন এমন হতে পারে টিকা এদের বিরুদ্ধে তেমন সুবিধা করতে পারবে না।
ভারতের নানা প্রদেশে সঙ্ক্রমন আর মৃত্যুর এক ভয়াবহ চিত্র ।
আর এক নতুন উপদ্রব ট্রিপল মিউটেসন আর বেঙ্গল ভাইরাস যার ধস নেমেছে পশ্চিম বঙ্গে ।
এই অভিজ্ঞতা অনেক দেশকে তাদের মোকাবেলা ডিজাইন নতুন করে
সাজাতে প্রণোদিত করবে ।
আপনার মতামত দিন: